পুঠিয়ায় রকি হত্যা মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বাদির পরিবার!

পুঠিয়ায় রকি হত্যা মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বাদির পরিবার!

পুঠিয়ায় রকি হত্যা মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বাদির পরিবার!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় রকি হত্যা মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকির প্রতিকার চেয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন বাদীর ভাই মো. শফিকুল ইসলাম।

সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

পুঠিয়ায় রকি হত্যা মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বাদির পরিবার!

হত্যা মামলার আসামীদের হামলায় আহত আমানুল্লাহ সাব্বির

অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়,  রকি হত্যা ঘটনায় পুঠিয়া থানার মামলা নং- ৩৪, সি/১৮, জিআর-২২৯/১৮। ওই মামলার আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়েছেন একই সালে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় সাক্ষী ও বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাপসৃষ্টি করে আসছে। সেই সাথে বভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি পরিদর্শন করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় এজাহারভূক্ত আসামী নিজাম গত ইং ০৪/১১/২০২১ তারিখ দুপুর ১টার দিকে পুঠিয়া থানাধিন ফুলবাড়ি বাজারে রকি হত্যা মামলার ৬নং সাক্ষী শহিদুলের চা মিষ্টির দোকানে যায়।

এ সময় নিজাম শহিদুলকে বলে মামলা তুলে নিবি এবং আদালতে কখনই সাক্ষী দিতে যাবি না বলে হুমকি দেয়। এতে নিজামের সাথে শহিদুলের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে নিজাম দোকান থেকে ছুটে বাইরে গিয়ে মোবাইল ফোনে তার লোকজনকে ডাকে।

এরপর ৩০মিনিটের মধ্যে রকি হত্যা মামলার অন্যান্য  আসামী  মো. শহিদুল, মো. লোকমান, মো. নবী, মো. ছবি, মো. সাহেব আলী, মো. হাশেম আলী, মো. ইসলাম, মো. হবি, মো. শফি, মো. রেজাউল, সান মো. কালু, সনি, রকি, আইয়ুব আলী। এছাড়া তাদের সহযোগী মো. সুজন, লিখন, শাওন, হালিম সহ অনুমানিক ২০জন যুবক দেশীয় বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে ফুলবাড়ি বাজারে উপস্থিত হয়।

হামলার শিকার চা মিষ্টির দোকানী শহিদুল

সেখানে নিজামের নেতৃত্বে উপরোক্ত ব্যক্তিরা হত্যার উদ্দেেেশ্য মিষ্টির দোকানের মালিক শহিদুল, তার ছেলে শাহীন ও  হত্যা মামলার ১নং সাক্ষি শফিকুলের ছেলে মো. আমানুল্লা সাব্বিরের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কীত হামলা চালায় এবং তাদের বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। একই সময় মিষ্টির দোকান ভাংচুর করে এবং শহিদুলের পকেট থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ক্যাশ বাক্স থেকে ৪হাজার টাকা ও তার ব্যবহৃত চাইনা মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সব মিলে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিন করে হামলাকারীরা।

ওই সময় শহিদুল, আমানুল্লাহ ও শাহীনকে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ২৫ নং ওয়ার্ডে  ৮নং বেডে আমানুল্লাহ ও শহিদুল ৫নং ওয়ার্ডে ৫নং বেডে চারদিন চিকিৎসাধিন ছিলেন।

বর্তমানে আসামীদের অব্যাহত হুমকির আমরা নিরাপত্তাহিনতায় মধ্যে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মো. সনি, শহিদুল, রকি, নবি, শফি, সাহেব আলী, নিজাম, হাশেম, ইসমাইল ও রেজাউল নিজ এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী, সুদ ব্যবসায়ী ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতীর সন্ত্রাসী। তাদের নামে একধিক মামলাও চলমান রয়েছে।

এ ব্যপারে বাদীর ভাই মো. শফিকুল ইসলাম ন্যায় বিচার নিরাপত্তার স্বার্থে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ ক্ষয় ক্ষতি পূরুনের জন্য অভিযোগ দায়ের করেন।

মতিহার বার্তা / এম জি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply